আজ থেকে কক্সবাজারে ডিসি কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু

মাহাবুবুর রহমান :

আজ থেকে শুরু হচ্ছে কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া। সদ্য ঘোষিত এস.এস.সি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা অনলাইনে আবেদনের মাধ্যেমে কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে। আজ ১২ মে থেকে ২৩ মে পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবে। সরকারি ভাবে নির্ধারিত ওয়েবসাইট www.xiclassadmission.gov.bd এই ঠিকানাতে লগিং করে সেখানে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। এবং সরকারি নির্ধারিত ফি দিয়ে টেলিটক সীমের মাধ্যমে এসএমএসর মাধ্যেমে আবেদন করা যাবে।

মন্ত্রনালয়ের তথ্য মতে প্রত্যেক শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ১০ টি সর্বনি¤œ ৫ টি পছন্দসই কলেজে আবেদন করতে পারবে। তবে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জিপিএ এবং পছন্দসই কলেজের আসন সংখ্যার উপর নির্ভর করবে ভর্তির নিশ্চয়তা। আর প্রথম পর্যায়ের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে ১০ জুন। এবং ক্লাস হবে ১ জুলাই থেকে।

এদিকে জেলায় নব প্রতিষ্টিত ডিসি কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে বলে জানান,অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহজাহান আলী। তিনি বলেন, নব প্রতিষ্টিত কক্সবাজার ডিসি কলেজে এবার বিজ্ঞান বিভাগে ৬০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে। যেহেতু আমরা এখনো অনলাইনে অর্ন্তভূক্ত হয়নি তাই অন্যকোন ভাবে ম্যানেজ করা হচ্ছে। তবে নতুন ভাবে শিক্ষার্থী ভর্তির মধ্যে দিয়ে যাত্রা শুরু করছে ডিসি কলেজ।

এদিকে কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ফজলুল করিম চৌধুরী বলেণ,আজ ১২ মে থেকে প্রথম ধাপের ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে। সব কিছু আগের মতই চলবে। আমি মনে করি অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়ার বিষয়টি কয়েক বছর ধরে চলছে তাই এখন শিক্ষার্থীরা অভ্যস্ত হয়ে গেছে। তাই এখন কোন সমস্য হবে বলে মনে হয় না। আর কক্সবাজার সরকারি কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে আসন সংখ্যা ৩৩০ সেখানে ভর্তির জন্য জিপিএ নির্ধারন করা হয়েছে জিপিএ ৪,আর ব্যবসা শিক্ষা শাখায় আসন সংখ্যা ৩৩০ সেখানে জিপিএ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩.৫। মানবিক শাখায় আসন সংখ্যা ১৫০ সেখানে জিপিএ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩.০০।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় দেখা যাচ্ছে কলেজ গুলোকে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়েছে এই বিষয়ে নিয়ে আমরা কোন নির্দেশনা বা কোন কিছুই পায়নি। এটা সঠিক তথ্য নয় বলে জানান তিনি।

এদিকে কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজ সূত্রে জানা গেছে এই কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে আসন সংখ্যা ১৬৬ জিপিএ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩.৫০। মানবিক বিভাগে আসন সংখ্যা ৩৩৫ এবং জিপিএ নির্ধারণ করা হয়েছে ২.৭৫। ব্যাবসায় শিক্ষা আসন সংখ্যা ৩৩৬ এবং জিপিএ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩.০০।

অন্যদিকে কক্সবাজারের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্টান কক্সবাজার সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ক্যাথিং অং বলেন,কক্সবাজার সিটি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগে আসন সংখ্যা ৩০০ এবং জিপিএ নির্ধারন করা হয়েছে ২.৫।ব্যবসায় শাখায় আসন সংখ্যা ৪৮৫ এতে জিপিএ লাগবে ১.৫ একই সাথে মানবিক শাখায় আসন সংখ্যা ৬২৫ এতে জিপিএ লাগবে ১.৫। এছাড়া কারিগরি শাখার ২৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।

এদিকে কক্সবাজার পৌর প্রিপ্যার‌্যাটরী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সদ্য এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থী আরফাত জানান,আমি ৩.৯৪ জিপিএ নিয়ে পাস করেছি। যখন থেকে রেজাল্ট পেয়েছি তখন থেকে কলেজে ভর্তি নিয়ে খুবই চিন্তায় আছি। কারন অতীতে অনেককে দেখেছি পছন্দসই কলেজে ভর্তি হতে পারেনি বরং ঘরের কাছে কলেজ থাকতে অনেকে রামু কলেজে গিয়ে ভর্তি হয়েছে। তাই সত্যি কথা বলতে খুবই চিন্তার মধ্যে আছি আর অনলাইনে ভর্তি বিষয়টি জটিল বলে মনে হচ্ছে জানিনা কি হয়।

কক্সবাজার মডেল হাই স্কুলের শিক্ষার্থীর অভিবাবক নাজমা আলম বলেন,আমার মেয়েকে কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজে ভর্তি করাতে আগ্রহি জানিনা পারবো কিনা। আমার জানা মতে এখানে যে জিপিএর কথা বলা হচ্ছে মেয়ের তার চেয়ে ভাল জিপিএ আছে কিন্তু আবেদন করলে দেখা যাবে অনেক পিছিয়ে আছে বা প্রথম পছন্দ দেওয়ার পরও দেখা যাচ্ছে এই কলেজে আসিনি দূরের কোথাও কলেজে এসেছে। সে চিন্তায় পুরু পরিবার খুবই চিন্তার মধ্যে আছে।

এদিকে রামু সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল হক বলেন, আমাদের কলেজে বিজ্ঞান শিক্ষায় আসন সংখ্যা ২০০ আর জিপিএ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩.৫০ আর ব্যবসায় শিক্ষায় আসন সংখ্যা ৩৫০ এবং মানবিক শাখায় আসন সংখ্যা ৪৫০ সেখানে দুটিতেই জিপিএ লাগবে ৩.০০।

তিনি বলেন, আমাদের কলেজ সরকারি হওয়ার পর এবারই প্রথম বারের মত শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে আমরা আশা করছি খুবই কম খরচে ভাল লেখাপড়া করার সুযোগ পাবে শিক্ষার্থীরা।

এদিকে চকরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেন, আমাদের কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষার্থীদের জন্য আসন সংখ্যা ১০০ আর আবেদন করতে পারবে জিপিএ৩.৫০ একই সাথে ব্যবসা শিক্ষা এবং মানবিক শাখায় আসন সংখ্যা ৩০০ করে এবং জিপিএ লাগবে দুই বিভাগেই ৩.০০ করে।

আলাপ কালে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ছালাহউদ্দিন চৌধুরী বলেন, আজ ১২ মে থেকে কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে। কোন শিক্ষার্থী অনলাইনে আবেদন নিয়ে কোন সমস্যা হলে সেটা সমাধান করার জন্যও বেশ কিছু পদক্ষেপ রয়েছে। তবে বেশ কয়েক বছর ধরে অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম চলছে তাই আশা করি তেমন কোন বড় সমস্যা হবেনা। আর কোন শিক্ষার্থী কলেজ না পেয়ে ভর্তি হতে পারবেনা এরকম কোন সুযোগ নেই সবার ভর্তি নিশ্চিত করা হবে।